করোনার ঘরোয়া চিকিৎসা

বতর্মানে মহামারী চিকিৎসা পরিস্থিতিকে বিপদ গ্রস্থ অবস্থায় এনে ফেলেছে। হাসপাতালে শয্যা নেই, ডাক্তার নার্স এর অভাব।এই মতো অবস্থায় ঘরের কোন সদস্যের যদি করোনা হয়, তখন আমাদের প্রথমেই কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে,কি কি সাবধানতা নিতে হবে, তাই আলোচনার বিষয় ।

যখন তখন যে কেউ এই রোগের আক্রান্ত হতে পারে। ভয় না পেয়ে, এই রোগ থেকে সেই অবস্থায় কি ভাবে বেরিয়ে আসা যায় তা আমাদের ভালো ভাবে জানতে হবে। আমি নিজেই এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ছিলাম। বাড়িতে থেকে সমস্থ সাবধানতা মেনে তার থেকে বেড়িয়ে এসেছি।

প্রথমেই আসা যাক প্রথম অবস্থায় কি কি ব‍্যবস্থা নেবেন।

1 ) নিজেকে সম্পূর্ণ একটি আলাদা ঘরে রাখার ব‍্যবস্থা, তবে সেই ঘর যেন বদ্ধ না হয়, হাওয়া, আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে,

2 ) আপনি যে Toilet ব‍্যবহার করবেন,সেটা আর কেউ ব‍্যবহার করতে পাবে না। প্রতি দিন toilet এ ব্লিচিং, ফিনাইল, ডেটল দিতে হবে।

3 ) সব সময় মাস্ক পারে থাকতে হবে, যতটা সম্ভব পরিবারের সকলের থেকে দুরে থাকতে হবে ।

4 ) নিজের দাঁতের ব্রাশ টি কভার দিয়ে আলাদা ভাবে রাখতে হবে।

5 ) গামছা বা তোয়ালে আলাদা করে নিজের কাছে রাখতে হবে।

6 ) প্রতি দিন বিছানার চাদর, বালিশের কভার পাল্টাতে হবে। শরীর বুঝে স্নান করতে হবে।

7 ) দিনে তিন – চার বার গরম জলে লবন দিয়ে গারগেল করতে হবে, গরম জল খেতে হবে,গরম জলে ভ‍্যপার নিতে হবে।

জরুরী কয়েকটি জিনিস ঘরে রাখতে হবে,

Thermometer, Oximeter, Blood pressure monitor এগুলোর সাহায্যে প্রতি দিন শরীরের তাপমাত্রা, অক্সিজেনের পরিমাণ এবং রক্তের ওঠা নামা মাপতে হবে , এবং লিখতে হবে। জ্বরের ওষুধ দিনে তিন বেলা খেতে হবে। oximeter দিয়ে দিনে অন্তত তিন বার মাপা দরকার । যদি দেখা যায় অক্সিজেন পরিমান92-94 এর মধ্যে আসছে , তখনই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। হাসপাতালে ভর্তির ব‍্যবস্থা করতে হবে। যদি বেড না পাওয়া যায়, তখন ঘরোয়া পদ্ধতিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে, পদ্ধতিটা আমাদের সবারই কম বশি জানা। তিন টি বালিশ নিতে হবে, উপুর হয়ে শুতে হবে , একটি বালিশ পেটের নিচে, একটি বালিশ পায়ের হাটুর নিচে, একটি বালিশ চিবুকে নিচে, এই ভাবে শুয়ে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়তে হবে, একটু পরে এপাশ একটুপরে ওপাশ এই ভাবে কিছুখন শ্বাস নেওয়ার পর অক্সিজেনের পরিমাণ মাপতে হবে, না বাড়লে শিঘ্রই হসপিটালে ভর্তির ব‍্যবস্থা করতে হবে।

এবার খাওয়া দাওয়া, প্রটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। কিন্তু দেখতে হবে তা যেন সহজ পাচ্চ হয়। কোন মতোই হজমের গন্ডগোল হতে দেওয়া যাবে না। আহারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। পর্যপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। ডিম, মাছ, মাংস, ফল ইত‍্যাদি খাবারের তালিকায় থাকা দরকার। বিশ্রামে থাকবেন। ভালো বই পড়বেন কোন দুঃখজনক ঘটনা শুনবেন না, বা দেখবেন না। ফোনে আনন্দ মূলক জিনিস দেখবেন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন ভালো থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

satta king chart